কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আরিফুর রহমান দোলন বলেছেন, ‘এলাকার উন্নয়ন চাইলে মাননীয় নেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত মানতে হবে। আলফাডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচন ও তিনটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি যে প্রার্থীদের মনোনয়ন দিয়েছেন তাদের বিজয়ী করতে হবে।’

শুক্রবার সন্ধ্যায় আলফাডাঙ্গার মিঠাপুর গ্রামে আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আলফাডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে দল মনোনীত মেয়র প্রার্থী সাইফুর রহমান সাইফারের প্রচারণার অংশ হিসেবে এই সভার আয়োজন করা হয়।

কৃষক লীগ নেতা আরিফুর রহমান দোলন বলেন, ‘যারা প্রকৃতই আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন, দলের পদ-পদবিতে আছেন তাদের অবশ্যই শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত হবে। তারা কখনো বিদ্রোহী হতে পারেন না। আমি আশা করি আগামী ৬ ডিসেম্বরের আগে বিদ্রোহী প্রার্থীরা তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেবেন। নৌকার প্রার্থীকে সমর্থন দেবেন।’

আলফাডাঙ্গায় সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে ঢাকাটাইমস ও সাপ্তাহিক এই সময় সম্পাদক বলেন, ‘এলাকার উন্নয়ন সবার ঊর্ধ্বে। পৌর ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীদের বিজয়ী করলে জননেত্রী শেখ হাসিনা খুশি হবেন। তিনি খুশি থাকলে আগামীতে এই এলাকার উন্নয়নে আরও দাবি-দাওয়া নিয়ে তার কাছে যাওয়া যাবে। তিনি নিশ্চয়ই আমাদের কথা রাখবেন।’

দোলন বলেন, ‘পদ্মা নদীর ওপর সেতু হচ্ছে। এই সেতু দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ভাগ্য বদলে দেবে। আপনারা যদি চান এই সেতুর কাজ শেষ হোক তাহলে শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তকে মানতে হবে। নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করতে হবে।’ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আলফাডাঙ্গাকে নিজের উপজেলা মনে করেন উল্লেখ করে আরিফুর রহমান দোলন বলেন, ‘২৮ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আমরা দেখিয়ে দিতে চাই আলফাডাঙ্গায় নৌকার বিকল্প কিছু নেই।’ সভায় আলফাডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এস এম আকরাম হোসেন বলেন, ‘নৌকা জিতলে শেখ হাসিনা জিতে যান। নৌকা জিতলে আমরা জিতে যাই। যেভাবেই হোক নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে।’

দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা যারা মনোনয়ন চেয়েছিলেন, কিন্তু পাননি তাদের উচিত দলের প্রতি আস্থা রেখে দল মনোনীত প্রার্থী হয়ে কাজ করা। এটাই দলীয় নির্দেশনা। অথচ যারা এটি না করে স্বঘোষিত প্রার্থী হয়েছেন তারা ঠিক করেননি। দলকে ভালোবাসলে অবশ্যই নেত্রী শেখ হাসিনার পছন্দকে মেনে নিতে হবে।’

সভাপতিত্ব করেন ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোকসেদ মোল্লা। আলফাডাঙ্গা পৌর নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী সাইফুর রহমান সাইফার, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শেখ শওকত আহমেদসহ আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা বক্তৃতা করেন।

চাঁন্দড়ায় গোপালপুর ইউনিয়নের নির্বাচনী সভা

শুক্রবার বিকালে চাঁন্দড়া নূরানি তালিমুল কুরআন মাদরাসা প্রাঙ্গণে ২নং গোপালপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ইনামুল হাসানের প্রচারণা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আরিফুর রহমান দোলন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার আছে বলে এই অঞ্চলের রাস্তাঘাটসহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন হচ্ছে। আমাদের ছেলেমেয়েরা আগের চেয়ে বেশি সরকারি চাকরি পাচ্ছে। এটি অব্যাহত রাখতে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করতে হবে।’

গোপালপুর ইউনিয়ন নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী ইনামুল হাসানকে বিজয়ী করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনাদের কাছে কিছুই চাই না। শুধু নৌকায় ভোট চাই। নৌকাকে বিজয়ী করতে পারলে নেত্রী শেখ হাসিনা আপনাদের সব চাওয়া পূরণ করবেন।’

আরিফুর রহমান বলেন, ‘আলফাডাঙ্গায় ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে টিটিসি নির্মাণ কাজ চলছে। এটি সম্ভব হয়েছে নৌকা মার্কার সরকার ক্ষমতায় আছে বলে। শেখ হাসিনার প্রতি যদি আস্থা থাকে, নৌকার প্রতি যদি আস্থা থাকে তাহলে ২৮ ডিসেম্বরের নির্বাচনে নৌকায় ভোট চাই। আর কোনো চাওয়া নেই।’

সভায় আরও বক্তৃতা করেন, গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মনিরুজ্জামান ইকু, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা শেখ শওকত আহমেদ, আলফাডাঙ্গা আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ মোরশেদুর রহমান তাজ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা মোনায়েম খান প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মিন্টু, চেয়ারম্যান প্রার্থী ইনামুল হাসান, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল ইসলাম ফজরসহ অন্যান্যরা।

প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা আতিয়ার রহমানের জন্য দোয়া

সাবেক মুক্তিযোদ্ধা উপ-কমান্ডার এস এম আতিয়ার রহমান কামরুলের রুহের মাগফেরাত করে দোয়া মাহফিল ও কুলখানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বাদ জুমা আলফাডাঙ্গার টিটা গ্রামে মরহুমের নিজ বাড়িতে এ উপলক্ষে দোয়ার আয়োজন করা হয়। কৃষক লীগ নেতা আরিফুর রহমান দোলন এতে অংশ নেন। তিনি মরহুমের পরিবারের সদস্যদের খোঁজ খবর নেন। প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা আতিয়ার রহমান কামরুলের বাবা প্রয়াত সরদার হাবিবুর রহমান আলফাডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/০২ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/এইচএফ/জেবি)