• দৈনিক বাংলাবাজার ও সাপ্তাহিক ২০০০ পত্রিকায় কাজ শুরু করেন। তারপর যোগ দেন দৈনিক প্রথম আলোয়। পত্রিকাটির বিশেষ প্রতিনিধি, উপ-প্রধান প্রতিবেদক এবং সিনিয়র প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করেন টানা ১০ বছরের বেশি সময়। পরে যোগ দেন দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন’র প্রতিষ্ঠাকালীন উপসম্পাদক হিসেবে। তারপর আসেন দৈনিক আমাদের সময়’র নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে। এছাড়া বাংলাভিশন টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি।
  • • চাকরির পর্ব চুকিয়ে নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে মেলা ধরার চ্যালেঞ্জ থেকেও পিছপা হননি। বর্তমানে তিনি জনপ্রিয় অনলাইন নিউজপোর্টাল ঢাকাটাইমস২৪ ডটকম এবং সাপ্তাহিক এই সময় এর সম্পাদক।
  • • কর্মজীবনে স্বীকৃতিও পেয়েছেন তিনি। চারণসাংবাদিক মোনাজাতউদ্দিন স্মৃতি পুরস্কার, রাজনীতি, অপরাধ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক রিপোর্টিংয়ে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শ্রেষ্ঠ রিপোর্টিং পুরস্কার, সুপেয় ইনভায়রনমেন্টাল এওয়ার্ডসহ অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য পেয়েছেন একাধিক পুরস্কার ও সম্মাননা। সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য মাদার তেরেসা মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছেন তিনি।
  • • আরিফুর রহমান দোলন সাংবাদিকতার পাশাপাশি নানা ধরনের ব্যবসার সঙ্গেও যুক্ত। তিনি নিউ ভিশন রিসোর্সেস লিমিটেড, নিউ ভিশন এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার, নোভে কমিউনিকেশন্স লিমিটেড, গুডম্যান হোল্ডিংস লিমিটেড, অরেঞ্জ কমিউনিকেশন্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এছাড়া এই সময় পাবলিকেশন্সের কর্ণধারও তিনি।
  • • আরিফুর রহমান দোলন যেখানেই থেকেছেন এলাকার উন্নয়নে নিজেকে সবসময় সম্পৃক্ত রেখেছেন। এলাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত আছেন দীর্ঘ সময় ধরে। বর্তমানে তিনি কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমীর ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি। আলফাডাঙ্গা আদর্শ কলেজ গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান। বেগম শাহানারা একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা।
  • আরিফুর রহমান দোলন বিভিন্ন সামাজিক কর্মকা-ে যুক্ত রয়েছেন ছাত্রজীবন থেকেই। সমাজের অবহেলিত, সুবিধাবঞ্চিত ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর মহান ব্রত নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেছেন কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশন। তিনি সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান।
  • • কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে নানা সমাজকল্যাণমূলক কাজ করছেন আরিফুর রহমান দোলন। বিনামূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনা করছে ফাউন্ডেশনটি। শিক্ষার্থী ও বেকার জনগোষ্ঠীকে তিন মাসের কর্মমুখী এই প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালী উপজেলায় এই কর্মসূচি চলছে। আদর্শ ও নৈতিক ব্যক্তিত্ব গড়ে তোলার জন্য বই পড়ার আগ্রহ সৃষ্টির কর্মসূচিও চালাচ্ছে কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশন। এর অংশ হিসেবে মধুখালীতে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের জন্মভূমি রউফনগরে (সাবেক সালামাতপুর) বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ স্মৃতি পাঠাগারে কয়েকশ বই দেয়া হয়েছে। এছাড়া আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালীতে তিনটি পাঠগার স্থাপনের কাজ চলছে। শিগগির এটি বাস্তবায়ন হবে।
  • • দক্ষ ও নৈতিকতা সম্পন্ন জনশক্তি তৈরিই নয়, ফরিদপুর-১ আসনের তিন থানার রাস্তাঘাট, স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, মসজিদ, মন্দির, করবস্থান, ঈদগাহ, ডাকবাংলো, পুকুর ও খেলার মাঠসহ অবকাঠামোগত উন্নয়নে স্থানীয় সরকার বিভাগসহ সরকারের বিভিন্ন বিভাগে দৌড়ঝাঁপ করছেন। মানুষ সুফলও পেতে শুরু করেছে। আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালীতে অনেক কাঁচা রাস্তা পাকা হয়েছে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়নও হয়েছে। আরও অনেক কাজ প্রক্রিয়াধীন আছে। শিগগির এগুলোও শুরু হবে।
  • • আলফাডাঙ্গার কামারগ্রামে নির্মিত হচ্ছে টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার-টিটিসি। এই প্রতিষ্ঠানটি স্থাপনের পেছনেও আরিফুর রহমান দোলনের বড় ধরনের ভূমিকা রয়েছে। তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগে চেষ্টা-তদবিরের মাধ্যমে প্রকল্পটি আলফাডাঙ্গায় নেয়ার ব্যাপারে ভূমিকা রেখেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ ফরিদপুর সফরকালে ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজের উদ্বোধন করেছেন।
  • • মধুখালীর রউফ নগরে আগে বিদ্যুৎ ছিল না। আরিফুর রহমান দোলন ওই এলাকায় গিয়ে মানুষকে কথা দিয়েছিলেন শিগগির যেন সেখানে বিদ্যুতে আলো পৌঁছে সে জন্য তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে কথা বলবেন। তিনি কথা রেখেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদিচ্ছা ও দোলনের চেষ্টা-তদবিরে রউফ নগরের ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে বিদ্যুতের আলো।
  • • বীরশ্রেষ্ঠের বাড়িটি অরক্ষিত। আরিফুর রহমান দোলন রউফনগর থেকে ফিরে এসে ফরিদপুর জেলা পরিষদের কাছে বিষয়টি তুলে ধরেন। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মৃধা ও কর্মকর্তারা বীরশ্রেষ্ঠের গ্রাম ঘুরে এসে অবকাঠামোগত উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে। বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের বাড়িটি সংরক্ষণে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ হতে যাচ্ছে।
  • • মাদকবিরোধী কর্মসূচিও পরিচালনা করছে কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশন। তরুণ প্রজন্মকে মাদকাসক্তি থেকে ফিরিয়ে আনতে মাদকবিরোধী সভাও করেছে সংস্থাটি। এছাড়া গরীব, অসহায় মানুষের দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেয়ার জন্য আলফাডাঙ্গায় চক্ষুশিবির পরিচালনা করেছে কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশন। প্রায় এক হাজার মানুষ এ সেবা পেয়েছে। রোগীদের বিনামূল্যে চোখের অপারেশন ও চশমা দেয়া হয়েছে। এই কর্মসূচি ধারবাহিকভাবে চলছে।
  • • আরিফুর রহমান দোলন জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি এবং পরিবেশ সাংবাদিক সমিতির স্থায়ী সদস্য। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নেরও (ডিইউজে) স্থায়ী সদস্য তিনি। এছাড়া ঢাকা ক্লাবের ইউজার মেম্বার।
  • • ব্যক্তি হিসেবে আরিফুর রহমান দোলন সাহসী এবং উদ্দমী একজন মানুষ। সাংবাদিকতার মতো চ্যালেঞ্জিং পেশায় থাকতে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধমকির মুখোমুখি হলেও পিছপা হননি। বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় থাকতে দৈনিক প্রথম আলোতে ‘তারেক রহমানের নেতৃত্ব চ্যালেঞ্জের মুখে’-শিরোনামে প্রধান প্রতিবেদন লিখে সাড়া ফেলেন। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীপুত্র তারেক রহমান তাঁকে উকিল নোটিশ পাঠান। এছাড়া বিএনপির তৎকালীন চিফ হুইফ খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে তাঁকে হত্যার হুমকি দেন। তিনি ওই ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন।
  • • বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে জঙ্গিবাদ মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছিল। আরিফুর রহমান দোলন তখন জঙ্গিবাদের সলুক সন্ধানে বেরিয়ে পড়েন। ঘুরে বেড়ান রাজশাহীসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জঙ্গিবাদের মূল হোতা শায়েখ আব্দুর রহমান ও বাংলাভাইয়ের গোপন আস্তানাসহ নানা কর্মকা-ের খবর বের করে আনেন। তাঁর লেখা সচিত্র প্রতিবেদনগুলো তখন প্রথম আলোর পত্রিকার লিড স্টোরি ছিল। যা আজও সংরক্ষিত আছে জাতীয় গ্রন্থাগারসহ বিভিন্ন সংরক্ষণাগারে।
  • • বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে তাঁর আদর্শ বাস্তবায়ন আরিফুর রহমান দোলনের প্রধান লক্ষ্য। তিনি বিশ্বাস করেন সমাজের সুবিধাবঞ্চিত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের মাধ্যমে জননেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলা সম্ভব। পাশাপাশি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ভিশন ২০২১ এবং ২০৪১-এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং বঙ্গবন্ধুপৌত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের স্বপ্ন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার মাধ্যমেই বিশ্বে অনন্য নজির স্থাপন সম্ভব বলেও মনে করেন তিনি।
  • আমৃত্যু জনগণের পাশে থেকে উন্নয়নের পথেই হেটে যেতে চান জনগণ অন্তপ্রাণ আরিফুর রহমান দোলন।